১৬ মে খেলাপি ঋণের ব্যাপারে ‘ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন পরিশোধ-সংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালা’ জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ-সংক্রান্ত একটি খসড়া নীতিমালা এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যারা দীর্ঘদিন শোধ করছেন না, তাদের বড় সুবিধার পথ সৃষ্টি করে দেওয়া হয়েছিল ওই প্রজ্ঞাপন জারির মধ্য দিয়ে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঋণখেলাপিরা বকেয়া ঋণের ২ শতাংশ জমা দিয়েই ঋণ নিয়মিত করতে পারবেন। সুদহারও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল ওই প্রজ্ঞাপনে। সর্বোচ্চ ১০ বছরে বাকি টাকা শোধ করার সুযোগ পাবেন তারা। তারা ব্যাংক থেকে নতুন ঋণও নিতে পারবেন। এখানেই শেষ নয়। যারা এক বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করে ব্যাংক থেকে বিদায় নিতে চান তাদের জন্য আরও বড় ছাড়ের কথাও বলা হয়। তারা চাইলে তহবিল খরচের সমান সুদ দিয়েই বাকি টাকা শোধ করতে পারবেন। এই প্রজ্ঞাপন জারির পর সঙ্গতই নানারকম প্রশ্ন দাঁড়িয়েছিল এবং সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। নতুন এ সুবিধা যদি ঋণখেলাপিরা ভোগ করতে পারতেন তাহলে ব্যাংক খাতের জন্য সংকট আরও প্রকট হতো। এ সুযোগে ঋণখেলাপিদের অনেক কিছুই ঢাকা পড়ে যেত। কিন্তু এক সম্পূরক আবেদনের শুনানির পর হাইকোর্ট ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা আটকে দিলেন।
২১ মে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুন নাহার ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানিকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘টাকা আদায়ের জন্য ১০ বছরের সুযোগ দিলেন। ইতিমধ্যে তো এক লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। খেলাপিরা নতুন করে ঋণ নেওয়ার সুযোগ পেলে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হতে পারে। দেশের অর্থনীতি তো শেষ করে দিচ্ছেন। অন্যান্য দেশের তুলনায় দেশের ব্যাংকগুলোয় সুদের হার বেশি। শিল্পঋণের সুদ কম হওয়া উচিত। ব্যাংকগুলো ব্যবসাবান্ধব না। ব্যাংকগুলো সুদখোরদের হয়ে যাচ্ছে আর ঋণখেলাপিরাই ব্যাংকের ধারক হচ্ছেন।’ আদালত আরও বলেছেন, “যারা ব্যাংক লুট করছেন, তাদের দুধ-কলা দিয়ে পুষছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার ‘দুষ্টের পালন, শিষ্টের দমন’।” উল্লেখ্য, ওই প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা এক সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে ওই প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতার ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ জারি করেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত এ স্থিতাবস্থা দেওয়া হয়েছে। ফলে এ সময়ে ওই প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে কোনো ধরনের ঋণ বিতরণ কিংবা মওকুফের সুযোগ আর থাকল না।
হাইকোর্টের নির্দেশনা জারির পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, জনমনে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। বিষয়টির পূর্ণ শুনানির পর আমরা যদি জানতে পারি যে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনটি আইনসিদ্ধ নয়, তাই তা বাতিলযোগ্য, তাহলে জনমনের স্বস্তি আরও পুষ্ট হবে। আমি এই কলামে ইতিপূর্বে খেলাপি ঋণ ও ঋণখেলাপিদের সম্পর্কে লিখেছি। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে যে তারল্য সংকট চলছে তা উদ্বেগজনক, বিস্ময়কর যুগপৎ প্রশ্নবোধক। কয়েকটি ব্যাংকের অবস্থা তো খুবই খারাপ। এই ব্যাংকগুলোর পক্ষে গ্রাহকের জমানো টাকা ফেরত দেওয়াই এখন অনেকটা কঠিন। গ্রাহকদের আস্থা হ্রাস পেয়েছে ব্যাংকের ওপর থেকে। ঋণখেলাপিদের দফায় দফায় সুযোগ কিংবা ছাড় দিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে তা এক কথায় অনাকাঙ্ক্ষিত-অনভিপ্রেত। এমতাবস্থায় যেখানে ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া উচিত সেখানে দেখা যাচ্ছে বিপরীত চিত্র। ইতিপূর্বে নানা ছাড় দিয়ে ঋণ পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন করেও খেলাপি ঋণ যেহেতু কমানো যায়নি উপরন্তু বেড়েছে, সেহেতু দফায় দফায় তাদের এই সুযোগ দেওয়ার হেতুটাই-বা কী? বিদ্যমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আদালত সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছেন তা স্বস্তির। ঋণখেলাপিদের ছাড়ের পর মাফের মতো নানারকম প্রক্রিয়ার ব্যাপারে ইতিপূর্বে অনেক কথা বলা হয়েছে। খেলাপি ঋণ দেশের অর্থনীতির জন্য বড় রকমের অশনিসংকেত। এই বৃত্ত কোনোভাবেই ভাঙা যাচ্ছে না। একজন কৃষক সামান্য টাকা ঋণ নিয়ে বিপদে পড়েও যেখানে সুযোগ-সুবিধা পান না সেখানে কোটি কোটি টাকা বলবানদের কাছে অনাদায়ী থেকে যাচ্ছে!
সমকালে কিছুদিন আগে খেলাপি ঋণ নিয়ে কয়েক পর্বের একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ওই ধারাবাহিক প্রতিবেদনে অনেক তথ্যচিত্রই উঠে এসেছে। ধারাবাহিকের দ্বিতীয় পর্বে বলা হয়েছে, ডেকে ঋণ দিয়ে বিপাকে পড়েছে ব্যাংকগুলো। তৃতীয় পর্বে বলা হয়েছে, ঋণখেলাপিদের কারণে সুদহার কমছে না। খেলাপি ঋণের বিপরীতে আয় দেখাতে পারে না ব্যাংক। অথচ ব্যাংকগুলোকে গ্রাহকের টাকা সুদসহ নিয়মিত পরিশোধ করতে হয়। এর বাইরে খেলাপি ঋণের মামলা পরিচালনায় বাড়তি খরচ করতে হয়। চতুর্থ পর্বে বলা হয়েছে, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে অনেকেই বাড়ি-গাড়ি ও বিলাসী জীবনযাপন করছেন। পঞ্চম পর্বে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাবে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ষষ্ঠ পর্বে বলা হয়েছে, মামলার পর মামলা হয়, টাকা আদায় হয় না। এ রকম নেতিবাচক সংবাদ আরও আছে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়টি নতুন করে সংকট প্রকট করেছে। বিদ্যমান বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে বলতেই হচ্ছে- বাংলাদেশে জাতীয় সমস্যাগুলোর একটি হচ্ছে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ সমস্যা। সমস্যাটি নতুন না হলেও ক্রমেই তা প্রকট হচ্ছে এবং উদ্বেগটা সেখানেই। গত তিন দশকের চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে জ্যামিতিক হারে। অর্থনীতির গতি বর্তমানে অনেকটা চাঙ্গা এবং প্রবৃদ্ধির হারও ঊর্ধ্বমুখী, তা অসত্য নয়। কিন্তু এত সব অর্জনের পরও খেলাপি ঋণের পরিমাণ ক্রমাগত বেড়ে চলা দুঃসংবাদ বৈ কিছু নয়। এর মধ্যে সম্প্রতি এ ব্যাপারে ছাড় দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত হলো, তা স্ববিরোধিতারই নামান্তর। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১২ সালে ঋণ নীতিমালা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করেছিল। কিন্তু ঋণখেলাপিদের চাপে সরকার আবার ফিরে গিয়েছিল পুরনো অবস্থায়। লক্ষণীয়, নিয়ম শিথিল করে বিশেষ ছাড়ে পুনঃতফসিল, পুনর্গঠন ও সুদ মওকুফ সুবিধা দেওয়ার পরও শুধু গত বছরই খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় সাড়ে ২৬ শতাংশ, যা আর্থিক হিসাবে ১৯ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। এই চিত্র নিশ্চিতভাবেই ব্যাংক খাতে সুশাসনের ঘাটতিরই প্রমাণ দেয়।
আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মতো এবার ক্ষমতায় এসে খেলাপি ঋণ কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল। বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে ‘দুষ্টের পালন’ চলছে, এ কথা আমি এর আগের লেখায় লিখেছিলাম। এই যে ঋণখেলাপিদের দফায় দফায় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হলো এর তো কোনোই সুফল পরিলক্ষিত হয়নি। খেলাপি ঋণের বৃত্ত থেকে কেন বের হতে পারছে না দেশের ব্যাংকগুলো- এই প্রশ্নের উত্তর সন্ধান দুরূহ কোনো ব্যাপার নয়। মূলত দুর্নীতি, অনিয়ম, ঋণ বিতরণে রাজনৈতিক প্রভাব, সুশাসনের অভাব, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ শিথিলতা ইত্যাদি বহু কারণে খেলাপি ঋণের পরিমাণ চলে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পরিস্থিতি বিশ্নেষণ করলে নানারকম নেতিবাচক চিত্র উঠে আসে। খেলাপি ঋণের স্ম্ফীত চিত্র দেশের ব্যাংক খাত, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের অশনিসংকেত। ঋণ যাতে কুঋণে পরিণত না হয় এ ব্যাপারে ব্যাংকগুলোর যতটুকু সতর্ক ও সজাগ থাকার কথা, তাতে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। ব্যাংক খাতে অসাধু কর্মকর্তাদের দাপট ও আধিপত্যের কারণে খেলাপি ঋণের চিত্র ক্রমেই স্ম্ফীত হচ্ছে। আমাদের সমাজে বস্তুত ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করার প্রবণতা এক ধরনের অপসংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। ব্যাংকগুলোর ওপর তদারকি ও নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে কঠোর আইন প্রণয়নের বিষয়টি ভাবতে হবে কালক্ষেপণ না করে। একই সঙ্গে ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা না গেলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়তেই থাকবে এবং তা ভবিষ্যতে আরও গভীর সংকট সৃষ্টি করবে। মনে রাখা দরকার, আমাদের ব্যাংক খাতের পরিধি ক্রমেই বাড়ছে। এ অবস্থায় প্রধান কাজ হলো, সাধারণ মানুষ কিংবা গ্রাহকের আস্থা অর্জন করা। ব্যাংক খাতে দুর্নীতি নির্মূলের পাশাপাশি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে খেলাপি ঋণের বিস্তার রোধ ও অনাদায়ী ঋণ আদায়ে সরকারকে নিতে হবে কঠোর ও নির্মোহ অবস্থান। নীতিহীন ব্যাংক পরিচালকদের ব্যাপারেও কঠোর হতে হবে। সংশ্নিষ্ট দায়িত্বশীলদের ক্ষমতাবলে বেসরকারি ব্যাংক খাতে ইতিমধ্যে যেসব অনিয়ম হয়েছে, এর প্রতিকার হওয়া প্রয়োজন। খেলাপি ঋণ আদায়ে যুগোপযোগী আইন প্রণয়নের ব্যাপারে বিভিন্ন মহল থেকে ইতিমধ্যে বহুবার গুরুত্ব আরোপ করা হলেও কার্যত ফল শূন্য। কারণ উৎসে গলদ রেখে এ রকম একটা বড় সমস্যার সমাধান দুরূহ। মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার পাশাপাশি সুশাসনের প্রভাব ব্যাংক খাতের অন্যতম প্রধান সমস্যা।
এ সত্য অস্বীকার করা যাবে না যে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, বিভিন্ন শিল্প-কারখানাসহ দেশে বড় ধরনের অবকাঠামো উন্নয়নে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। রাষ্ট্রীয় খাতের ব্যাংকগুলোর অর্থায়ন ছাড়া এত বড় অর্থায়ন বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে সম্পন্ন করা নিশ্চয়ই কঠিন হয়ে দাঁড়াত। গ্রাহকের আস্থা ও বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে ব্যাংক ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। সুতরাং ব্যাংকারদের সৎ থাকা ছাড়া উপায় নেই। রাজনৈতিক ও পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত থেকে বস্তুনিষ্ঠভাবে ব্যাংকাররা যাতে কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাংকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। খেলাপি ঋণের মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে যুগোপযোগী আইন যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন বিশেষ বেঞ্চ গঠনের মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা। শুধু অর্থঋণ আদালতে এসব মামলার নিষ্পত্তি সময়মতো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের উচিত, জনগণের গচ্ছিত আমানতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ব্যাংক খাতকে আমাদের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করা। ঋণখেলাপিদের দৌরাত্ম্য, অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে প্রয়োজন নির্মোহ অবস্থান নিয়ে কঠোর আইনের প্রয়োগ। খেলাপি ঋণের এ প্রভাব অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী। যদি শক্ত হাতে এর মোকাবেলা করা না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে এ জন্য আমাদের বড় ধরনের সংকটের মুখোমুখি হতে হবে। যেভাবে খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের একের পর এক ছাড়ের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তাতে যারা ঋণের টাকা পরিশোধ করতে ইচ্ছুক, তারাও বিরূপ প্রভাবে প্রভাবিত হবেন। খেলাপি ঋণের কারণে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা আমাদের জন্য অবশ্যই উদ্বেগের। এর সমাধান করতে হলে রাজনৈতিকভাবে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। যখন যে দল ক্ষমতায় যায় তাদের অনুসারীরা এ ব্যাপারে বিশেষ সুবিধা পেয়েছেন, এ কথা ইতিপূর্বে উঠেছে। সমস্যাটা বড়। এখন বিষয়টিকে শুধু সমস্যা বললে কম বলা হবে, রীতিমতো এটি গুরুতর সংকটের সৃষ্টি করেছে। কাজেই এর সমাধানে অবস্থান নিতে হবে নির্মোহ।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সভাপতি, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন
পাঠকের মতামত: